সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
জুলাই-আগষ্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ১২ জনকে নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি।
৩ ডিসেম্বর সকল ১১ টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সন্মেলন কক্ষে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
চেম্বার পরিচালক আজমল হুদার সঞ্চালনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দীন।
জেলা প্রশাসক বলেন. সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টর আমাদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স “কে ধন্যবাদ জানান। এইভাবে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার
মানুষের সহযোগীতা পেলে নতুন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আরও ত্বরান্বিত হবে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন জুলাই আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চার শহীদের তালিকাসহ আহতদের নির্ভুল তালিকার কাজ শেষ পর্যায়ে। জেলা প্রশাসন আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শোক সভার মাধ্যমে ঘোষণার পর এই প্রথম কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল। এর ধারাবাহিকতা আগামীতে চলমান রাখার জন্য উপস্থিত চেম্বার সদস্য / ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান। বৈষম্যহীন ছাত্র আন্দোলনের জেলা প্রতিনিধি রবিউল হুসাইন এবং আসমা আকতার পিংকী চেম্বার অফ কমার্স এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন জেলার অন্যান্য সামর্থ্যবান লোকজন বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত এবং নিহতদের পরিবারের পাশে থাকবে। আহত ছাত্রদের লেখাপড়া যাতে সঠিক ভাবে চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
চেম্বার সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার চেম্বার এর পরিসর ছোট হলেও এর সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আত্মসামাজিক কার্যক্রমের দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে। সুবিধা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে চেম্বারের সীমাবদ্ধ সক্ষমতার মাঝেও প্রতি বছর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছে। আগামীতে চেম্বার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সার্বিক কল্যাণে কক্সবাজারে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় বিশেষ তহবিল গঠনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। তিনি আরও বলেন আহত ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বাজার চাহিদা অনুযায়ী তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে সেই সহযোগীতা চেম্বার করবে। যাতে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
এসময় চেম্বার সদস্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পরিচালক এ,আর,এম শহীদুল ইসলাম রাসেল, উদয় শঙ্কর পাল মিঠু, মোহাম্মদ আলী, আফসারুল হক, আবীদ হাসান সাগর, আবু ফারহান, শেখ আশিকুজ্জামান, সদস্য মোহাম্মদ নুরুল হুদা, আমিনুল ইসলাম হাসান, আব্দুর রহিম, আবদুললা আল মুকিত চৌধুরী, জেলা সমন্বয়েকের প্রতিনিধি বৃন্দ, আহত ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অবিভাবকের বৃন্দ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।